রাজনীতি

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয়-লেখক

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করবেন।

Advertisement

ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সভায় ছাত্রলীগের প্রসঙ্গটি এসেছিল। আমাদের নেত্রী বলেছেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানে বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন।

Advertisement

সভায় উপস্থিত দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সংগঠনের ১ নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করতেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ১ বছর না পেরোতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা ওঠে আসে।

Advertisement

এর মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করা অন্যতম। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা, ফোন রিসিভ না করার অভিযোগও আছে।

এর বাইরে রাতজাগা ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, কর্মসূচিতে বিলম্বে যাওয়া, প্রধান অতিথিদের বসিয়ে রাখা, জেলা সম্মেলন করতে না পারা, বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ও এ তালিকায় রয়েছে।

এসব দেখে এবং শুনে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন। 

তারা বলেন, শেখ হাসিনা ভীষণ ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর। ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে’- এমন ক্ষুব্ধ মনোভাবও সেদিন প্রকাশ করেন দলীয় সভাপতি।পড়ুন: ছাত্রলীগের আরোও খবর।

এমইউ/এএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম