আন্তর্জাতিক

নারী ইমামের নেতৃত্বে নামাজ নিয়ে বিতর্ক

ফ্রান্সে দুই মুসলিম নারী ইমামের নেতৃত্বে নারী-পুরুষ একত্রে নামাজ পড়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। অনেকে ব্যাপারটির সমর্থন জানালেও কেউ কেউ তা ইসলামবিরোধী বলে মন্তব্য করছেন। জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচেভেলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আরও অনেক মুসলিম নারীই ফ্রান্সে ইমামতি করতে চান। তবে বরাবরই নানা বাধার কারণে তারা সে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু ৭ সেপ্টেম্বর ইভা জানাদিন ও আন্নে-সোফি মোসিনে সে কাজটিই করে দেখালেন। তাদের ইমামতিতে নামাজ পড়েন ৬০ জনের মতো মুসল্লি।

এই নামাজে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা কোনো বসার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে কোন মসজিদে এমন আয়োজন করা হয়, নিরাপত্তার খাতিরে তা প্রকাশ করেনি স্থানীয় গণমাধ্যম। মরক্কো ওয়ার্ল্ডনিউজ ডটকম জানিয়েছে, নামাজে অংশ নেয়া সব নারীর মাথায় কাপড় ছিল না। খুতবা দেয়া হয় ফরাসি ভাষায়।

ফরাসি অনলাইন পত্রিকা আরএফআই ডট এফআর জানিয়েছে, দুই নারী ইমাম প্রায় এক দশক আগে ইসলাম গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে ‘ভয়েস অব এনলাইটেনড ইসলাম’ নামের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তারা। তাদের মূল লক্ষ্য এমন একটি পরিবেশ প্রস্তুত করা, যেখানে মুসলিম নারী-পুরুষ এসে নামাজ পড়তে পারেন, ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

Advertisement

লা পেরিসিয়ানকে জানাদিন জানিয়েছেন, ‘আমরা ফরাসি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আধুনিকতার অনেক কিছুই এর মধ্যে থাকবে।’ মূলত এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন অনেকেই।

Un temps de prière mixte et progressiste, où le port du voile n'est pas obligatoire. «Nous apportons notre pierre à la construction d'un islam de France adapté aux acquis de la modernité», explique l'imame Eva Janadin > https://t.co/sZ1CPhFy6N pic.twitter.com/vCHBJ731c2

— Le Parisien (@le_Parisien) September 8, 2019

আন্তঃসংস্কৃতি মেলবন্ধনের লক্ষ্যে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকালোস সারকোজি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুসলিম কালচারাল কাউন্সিল ইন ফ্রান্স বা সিএফসিএম। তবে সংস্থাটির মুখপাত্র আবদাল্লাহ জেকরি নারীদের ইমাম হওয়ার বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, ‘ধর্মের মতো কয়েক শত বছরের ঐতিহ্য চাইলেই একদিনে বদলে ফেলা যায় না।’

অবশ্য এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলেও, দুই নারী ইমামের আশা শিগগিরই তারা একটি স্থায়ী জায়গা পাবেন। সেই জায়গায় নারীরা ইমামতি করতে পারবেন এবং নারী-পুরুষ একসঙ্গে নির্দ্বিধায় নামাজ পড়তে পারবেন।

Advertisement

সূত্র : ডয়েচেভেলে

এসএ/জেআইএম