ব্রাজিলে প্রতি ঘণ্টায় চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। যার অর্ধেকের বয়স ১৩ বছরের কম। এ ছাড়া প্রতি দুই মিনিট অন্তর দেশটির পুলিশ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি ঘটনার প্রতিবেদন পাচ্ছে। উপরের এই দুই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে নতুন এক গবেষণা নিবন্ধে।
Advertisement
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার এই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের বেসরকারি সংস্থা ব্রাজিলিয়ান ফোরাম অব পাবলিক সিকিউরিটি। তারা বলছে, নারী ও শিশু-কিশোরীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্রাজিলে।
ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যা ২০ কোটিরও বেশি। ইতোমধ্যে দেশটির ভূখন্ড নারীর জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক হুমকির স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নারীদের ওপর ক্রমাগত এই সহিংসতাকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময় বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে এক নারী অপর নারীকে হত্যার ঘটনাও গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে দেশটিতে। যদিও জাতীয়ভাবে গণহত্যার হার কমেছে ১০.৮ শতাংশ। এসব ঘটনার ৮৮ শতাংশ অপরাধী হয় কোনো নারীর সঙ্গী কিংবা সাবেক সঙ্গী।
Advertisement
গবেষণা নিবন্ধ অনুযায়ী, দেশটির ২ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি নারী তাদের সঙ্গীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মারাত্মকভাবে অসুস্থ। দেশটির সরকারি তথ্য-উপাত্ত এই সংখ্যা জানিয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে সর্বোচ্চ পরিমাণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যাদের ৫৪ শতাংশের বয়স ১৩ বছরের কম।
দেশটির সরকারি কৌঁসুলি ভ্যালেরিয়া স্ক্যারেন্সে স্থানীয় দৈনিক গ্লোবোকে বলেছেন, ‘ব্রাজিল এখনও নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি দেশ। শুধু এখানেই শেষ নয় গোটা বিশ্বের নারীদের মধ্যে ব্রাজিলের নারীদের নিজ ঘর সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠেছে।’
২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গোটা বিশ্বে নারী হত্যার হারের ক্ষেত্রে ব্রাজিলের অবস্থান পঞ্চম। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংগঠন হিউমান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, নিজ বাড়িতে সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে কিন্তু যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement