আন্তর্জাতিক

পা চেপে ধরে কুকুরকে দিয়ে খাওয়ানো হলো ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ

সন্দেহভাজন ধর্ষককে ধরে নগ্ন করার পর পিট বুল জাতের পোষা কুকুরকে দিয়ে ওই ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ খাইয়েছে মেক্সিকোর একটি গ্যাং। রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে ধরে নিয়ে যায় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে ৩০ বছর বয়সী ওই ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ জনসম্মুখে কুকুরকে দিয়ে খাওয়ায় তারা। সংঘবদ্ধ ওই গ্যাংয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ওই ধর্ষককে ধরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে পাঁচজনের একটি দল তাকে রাস্তার পাশে মাটিতে ফেলে মারধরের পর নগ্ন করেন। তার দুই পা দুই দিক থেকে টেনে ধরা হয়। এ সময় একটি সাদা রঙের উন্নত জাতের পোষ্য পিট বুল কুকুর ওই ধর্ষকের গোপনাঙ্গে হামলে পড়ে। ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে কুকুর। এ সময় ওই যুবককে স্প্যানিশ ভাষায় চিৎকার করে কুকুরের হামলা থেকে বাঁচানোর আকুতি করতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক চিৎকার করে বলছেন, প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও, আমাকে ছেড়ে দাও। এই যুবকের কান্নাকাটি থামানোর জন্য ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য তার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়।

Advertisement

বাদামি রঙের অপর একটি পিট বুল কুকুরকে সে সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গত মাসের এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা বলেছেন, অন্য ধর্ষকদের সতর্কতা হিসেবে এই শাস্তির ভিডিওটি প্রকাশ করা হলো। তবে নির্মম এই শাস্তির পর ওই ব্যক্তি বেঁচে আছেন কিনা তা জানা যায়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকোতে সংঘবদ্ধ অপরাধী সংগঠনগুলোর নিষ্ঠুরতার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধীদের ধরে এনে এ ধরনের শাস্তিদানের ঘটনাও বারবার ঘটাচ্ছে সংগঠনগুলো। গত মাসে দেশটির রাজধানীর রাস্তায় হাজার হাজার নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। গত ৩ আগস্ট মেক্সিকো সিটির আজক্যাপোতজ্যালকো জেলায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দেশটির পুলিশের চার সদস্যের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হাতে ধর্ষণের এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর এই আন্দোলন শুরু করেন দেশটির নারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে “সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সব নারী” এবং “যদি তুমি নারীদের লঙ্ঘন করো, তাহলে আমরাও তোমার আইন লঙ্ঘন করবো” প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মেক্সিকোতে প্রত্যেক দিন গড়ে অন্তত ১০জন নারী খুন হন। এছাড়া এ ধরনের আরো অনেক হত্যাকাণ্ডের ও অপরাধের খবর অনেক সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়। স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, পুলিশের ওপর মেক্সিকোর মানুষের আস্থা একেবারেই কম। যে কারণে অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না।

Advertisement

ইন্দ্রিরা স্যান্দোভাল নামের এক নারী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, প্রত্যেকদিন মেয়েরা নিখোঁজ হচ্ছে, নারীরা নিখোঁজ হচ্ছেন, নারীরা সহিংসতার শিকার ও ধর্ষিত হচ্ছেন। আমরা এর একটি রাজনৈতিক সাড়া চাই।

বিশ্বে মানুষ সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় মেক্সিকোতে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ খুন হয়েছেন; যা দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ।পড়ুন: ধর্ষণ সম্পর্কিত আরোও সর্বশেষ খবর

সূত্র : দ্য সান, দ্য গার্ডিয়ান।

এসআইএস/এমএস

Advertisement