অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে পাক-ভারত সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিতর্কিত জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চল। গত দুই দিনে পাক অধিকৃত আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের হাজিপুর সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানি দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজাদ-জম্মু-কাশ্মীরের হাজিপুর সেক্টরে বিনা উসকানিতে গোলাবর্ষণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে ৩৩ বছর বয়সী হাবিলদার নাসির হুসেইন নিহত হয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার হাজিপুর সেক্টরের কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে গোলাম রসুল নামে পাকিস্তানি অপর এক সেনা সদস্যের প্রাণহানি ঘটে।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই বলছে, বিনা উসকানিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে পাক সেনাবাহিনীর অন্তত দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। দুইদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পরও তাদের মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পাক সেনাবাহিনী। অবশেষে শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পতাকা প্রদর্শন করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
Advertisement
গত ৫ আগস্ট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন-সংক্রান্ত সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার। ১৯৮৯ সাল থেকে ভারত শাসনের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিরা আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে হাজার হাজার কাশ্মীরির প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জম্মু-কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতির কারণে যেকোনো মুহূর্তে ‘আকস্মিক যুদ্ধ’ শুরু হতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। অস্থিতিশীল এই অঞ্চল সফর করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল বাচেলেতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এসআইএস/এমএস
Advertisement