বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হচ্ছে বহরের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানের মুখপাত্র তাহেরা খন্দকার।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, ড্রিমলাইনারটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬-তে। দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। উড়োজাহাজটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে গেছেন।
বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ড্রিমলাইনারটি নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় দুপুর ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থান করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেরচিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী।
Advertisement
উল্লেখ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে র্মাকিন উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় । ইতোমধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়ছে।
চতুর্থ এবং শেষ উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ বৃহস্পতিবার দেশে আসছে । ‘রাজহংস’ বিমান বহরে সংযোজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ১০টি উড়োজাহাজের সবকটি উড়োজাহাজ বুঝে পাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে।
বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।
আরএম/জেএইচ/এমকেএইচ
Advertisement