ক্যাম্পাস

ভেতরে পরীক্ষার্থী বাইরে উদ্বিগ্ন অভিভাবক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনের সামনে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরের সীমানা প্রাচীরের দেয়ালে ছাতা মাথায় বসে আছেন রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা সিএনজি চালক সারোয়ার মিয়া। টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। অদূরেই কলা ভবনে তার ছেলে বাণিজ্য অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

Advertisement

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সারোয়ার মিয়া বলেন, ‘খুব টেনশন হচ্ছে। ছেলেটা না জানি কেমন পরীক্ষা দিচ্ছে। নিজে বেশি দূর পড়তে পারিনি। ছেলেটার স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। এখন যদি পাস দিতে পারে।’

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে কথাগুলো বলেন তিনি।

শুধু সারোয়ার নামের এ অভিভাবকের একার নয়, তার মতো হাজার হাজার অভিভাবকই উদ্বিগ্ন। সকাল ১০টা থেকে বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষা গ্রহণের মধ্যে দিয়ে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ৫৬ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাবিতের ভর্তির দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষার হলে যখন হাজার হাজার পরীক্ষার্থী দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত তখন বাইরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কলা ভবনসহ ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

‘গ’ ইউনিটের আজকের ভর্তি পরীক্ষায় এক হাজার ২৫০ আসনের জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২৮ হাজার ৯৫৮ জন। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ২৩ পরীক্ষার্থী। গত বছর সমান সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ২৬ হাজার ৯৬০ জন।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এবার প্রথম নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। নৈর্ব্যক্তিক অংশ হবে ৭৫ নম্বর এবং লিখিতভাবে ৪৫ নম্বর। ১২০ নম্বরে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সময় পাবে দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক অংশের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় পাচ্ছে ৪০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

এমইউ/এএইচ/এমএস

Advertisement