ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির নেতারা।
Advertisement
আদালতের নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়।
সদ্যবিলুপ্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের করা মামলায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না-সে মর্মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ নেতাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বিথি এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী আমান উল্লাহ আমান ছাত্রদলের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বহিষ্কৃত নেতা ইখতিয়ার কবিরের অনুসারী বলে একটা সূত্র দাবি করেছে। আমানের মামলার পেছনে বিএনপির আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।
Advertisement
অপর একটি সূত্রের দাবি, আমান উল্লাহ আমান যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর অনুসারী।
তবে বিষয়টি নিয়ে আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আদালতের আদেশ শোনার পর ছাত্রদলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বেশ কয়েকজন প্রার্থী জাগো নিউজের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়া থেকে তারা বিরত থেকেছেন।
ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মো. এরশাদ খান মনে করেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল বাধাগ্রস্ত করতে সরকার আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তবে বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে কাউন্সিল সম্পন্ন হবে বলে মনে করেন তিনি।
Advertisement
সার্বিক বিষয় নিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল পরিচালনায় রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা গুলশান অফিসে বৈঠকে বসেছি।’
কেএইচ/এসআর/পিআর