বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে থানার ভেতরেই মারধরের শিকার হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হরিদেবপুর থানার এক পুলিশ সদস্য। থানায় বাড়িওয়ালার নামে অভিযোগ দায়ের করতে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন এক নারী। সেই সময়ে থানায় ওই বাড়িওয়ালাও ছিলেন। উত্তপ্ত সেই পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে ওই নারীর হাতে থানার মধ্যেই ঘুষি খেলেন এক নারী পুলিশকর্মী।
Advertisement
থানার ভেতরে পুলিশকে পেটানোর দায়ে ভাড়াটিয়া ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট রাতে প্রকাশ্যে মদ্যপান করায় কয়েকজন যুবককে আটককে টালিগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই রাতে টালিগঞ্জ থানায় দুই দফা হামলা হয়।হামলাকারীরা এক পুলিশ সদস্যকে গেট থেকে মারতে মারতে থানার ভেতরে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা পৌঁছে যায় থানার ওসির কক্ষেও। এতে বাধা দিলে পুলিশ সদস্যদের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলে তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় হরিদেবপুরের বাসিন্দা বৈশাখী সিংহ তার বাড়িওয়ালা গৌতম কোলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ, গৌতম তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। কিন্তু পাওনা ১৪ হাজার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। বৈশাখীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৌতমকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু গৌতম থানায় এসে জানান যে বৈশাখী আদৌ তার ভাড়াটে নন। তাই টাকা ফেরত দেয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।
এর পর পুলিশ বৈশাখীর ভাই রাজীব ভুঁইঞাকে থানায় আসার জন্য তাকে জানায়। পুলিশের দাবি, ভাইকে থানায় আসার কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বৈশাখী। তিনি চেঁচামেচি শুরু করে দেন। বাড়িওয়ালাকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা চিৎকার করে বলতে থাকেন। থানার মধ্যে এ রকম চিৎকার-চেঁচামেচি করায়, তাকে সামলাতে ছুটে আসেন এক নারী পুলিশকর্মী। অভিযোগ, সেই পুলিশকর্মী আসতেই হাত-পা ছুড়তে শুরু করে দেন ওই নারী। পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে ঘুষিও মারেন। তাতেই আহত হন ওই পুলিশকর্মী। ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, পুরো ঘটনা অফিসার্স রুমে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ওই নারী পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই বৈশাখীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩২ এবং ৩৫৩ (কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা দেয়া এবং মারধর) ধারাতে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার বৈশাখীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিসি। আনন্দবাজার।
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ