রাজশাহী অঞ্চলের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম মোল্লা। তার নামে বাঘা, চারঘাট, ঈশ্বরদী, লালপুর, সিরাজগঞ্জ, ঢাকার গুলশান ও তুরাগ থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। কুখ্যাত এই মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে কি-না সেটি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
গত মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে ভেসে ওঠা মরদেহ কালামের বলে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ওই দিনই মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
কালাম মোল্লা বাঘা উপজেলার মহদিপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ ওরফে আকছেদ মোল্লার ছেলে। গ্রেফতার এড়াতে সীমান্তের ওপারে ভারতের জলঙ্গী থানার সাহেব নগর এলাকায় ভাইরার বাড়িতে থাকতেন তিনি।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রাজশাহী পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক চোরাকারবারি কালাম মোল্লা। পুলিশের ভয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে থাকতেন।
Advertisement
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভারতের জলাঙ্গী থানার সাহেবনগর গ্রামে থাকতেন কালাম মোল্লা। গত শনিবার দুপুরে সেখানকার কপুরা নদী পার হচ্ছিলেন কালাম মোল্লা ও তার বন্ধু ভারতীয় নাগরিক চাঁন মিয়া। এ সময় বিএসএফ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে কালাম মোল্লা এবং চাঁন মিয়া উভয়ই নদীতে ঝাঁপ দেন। চাঁন ওপরে উঠে এলেও কালাম দুইদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের সীমানার টলটলি পাড়ার নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কালামের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজহাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, মরদেহ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে তিনি কালাম মোল্লা। কালাম ভয়ঙ্কর চোরাকারবারি ছিলেন। সেই কারণে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আদালতের অনুমতি নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/জেআইএম
Advertisement