দেশজুড়ে

যশোরে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, দুইজনের মৃত্যু

যশোরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত আরও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জাহিদা বেগম (৩৫) এবং একই উপজেলার মশ্মিমনগর গ্রামের ইনতাজ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫)।

Advertisement

জাহিদা বেগম বুধবার সকালে এবং জাহানারা বেগম মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যশোরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও অন্য জেলার বাসিন্দা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জন মারা গেছেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল জানান, জাহিদা বেগম সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষার পর দেখা যায় তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জাহানারা বেগম সোমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এসময় তার ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তারপর রক্তের প্লাটিলেট কমে গেলে মঙ্গলবার ভোরে মারা যায়।

Advertisement

যশোরের সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায় জানিয়েছিলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু আক্রান্ত শাহাজাহান আলী বিশ্বাস (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। শহরের কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া গ্রামের হাজের আলীর ছেলে।

এছাড়া যশোরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও অন্য জেলার বাসিন্দা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যান।

তাদের মধ্যে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের রেবেকা খাতুন ওরফে রেশমা (৫৫) ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে আটটায় মারা যান তিনি। তিনি উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের সেকেন্দারের স্ত্রী।

কেশবপুর উপজেলার বরণঢালী গ্রামের রুহুল কুদ্দুস ৩১ আগস্ট রাতে মৃত্যুবরণ করেন। ১৩ আগস্ট মণিরামপুরের মধুপুর গ্রামের আরিফ (১২) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। আর ১৯ জুলাই নড়াইলের রোকসানা পারভীন রানী মারা যান যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতালে।

Advertisement

যশোরের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে ৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত যশোরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৭৩৩জন। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৫ জন। এছাড়া অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ক্লিনিকে ২২৪ জন চিকিৎসাধীন।

মিলন রহমান/এমএএস/পিআর