পাকিস্তানে পেশোয়ারের বিমানবাহিনীর ঘাঁটির একটি মসজিদে তালেবান হামলায় ১৬ মুসল্লিসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় মুসল্লিরা মসজিদটিতে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। এ হামলার ঘটনায় অন্তত ১৩ সন্ত্রাসীসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছে। পেশোয়ারের বাদাবার ঘাঁটিতে শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়।দুই দলে বিভক্ত হয়ে হামলাকারীর ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিল বলে জানানো হয়েছে। তবে দ্রুত হামলার জবাব দেয়ায় বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর এক ক্যাপ্টেনও আছেন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ২২ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ সেনাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল অসিম বাজওয়া টুইটার বার্তায় এ হামলার কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ (শুক্রবার) খুব ভোরে সন্ত্রাসীদের একটি দল বিমান ঘাঁটিটির গার্ড রুমে হামলা করে। দ্রুততার সঙ্গে সেনা প্রেরণ করে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয়।পাক বিমান বাহিনী বা পিএফএ’র এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, ঘাটিটির রাডার স্টেশনের কাছে এ হামলা চালানো হয়েছিল।তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি’র মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরসানি ই-মেইলে পাঠানো বার্তায় এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছেন। তালেবানের একটি আত্মঘাতী বাহিনীকে এ হামলার জন্য পাঠানোর দাবিও করেন এ মুখপাত্র।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের এদেশ থেকে নির্মূল করা হবে।’উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুল বা এপিএস’এ তালেবানের পৈশাচিক হামলায় দেড়শ’র বেশি ছাত্র এবং শিক্ষক নিহত হয়েছিলেন। এ মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে ওঠে এবং দেশটিতে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা মৃত্যুদণ্ড পুনরায় কার্যকর করা শুরু হয়।আরএস
Advertisement