লাইফস্টাইল

কোন কাপড়ে কতটুকু তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করবেন

কাপড় আমাদের সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন মানুষের রুচি সম্পর্কে খুব সহজেই অনুমান করা যায় তার পোশাক দেখে। কিন্তু কাপড় তো শুধু পরলেই হবে না, নিয়মিত ইস্ত্রি করতে হবে। ইস্ত্রি না করে কাপড় পরলে তা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।

Advertisement

তবে পুড়িয়ে ফেলার ভয়ে অনেকেই বাড়িতে ইস্ত্রি করতে চান না। আবার সব সময় লন্ড্রিতে কাপড় পাঠানোর মানে হলো বাড়তি খরচ আর ঝামেলা। তাই চেষ্টা করুন বাড়িতেই ইস্ত্রি করার। আর পুড়ে যাওয়ার ভয়? কোন কাপড়ে কতটুকু তাপমাত্রা দরকার তা জানা থাকলেই আর সেই ভয় থাকবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক-

সুতির কাপড়: সুতির জামাকাপড় যত সুন্দরই হোক না কেন, ইস্ত্রি ছাড়া পরলেই দেখতে বিদঘুটে লাগবে। এর কুঁচকানো ভাব আমার ইমেজও কুঁচকে দেবে নিশ্চিত। তাই সুতির কাপড় সুন্দর ভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তারপর সমান ভাবে ইস্ত্রি করে নিন।

সিল্ক: সিল্কের জামাকাপড় মানেই খুব হালকা, সূক্ষ এবং কোমল। এটি দেখতে যতটা জমকালো, ঠিক ততটাই আদুরে। অর্থাৎ, এর যত্নে একটু বেখেয়ালি হলেই পুরো পোশাকটি আর পরার যোগ্য থাকতবে না। তাই ইস্ত্রি করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন, সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

Advertisement

পলিয়েস্টার কাপড়: পলিয়েস্টার কাপড় ইস্ত্রি করতে গিয়ে যদি তাপমাত্রা সম্পর্কে না জানেন, তবে এটি খুব সহজেই নষ্ট হতে পারে। ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই পুড়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই খেয়াল রাখুন।

লিনেন কাপড়: লিলেন পরতে বেশ আরাম। তবে এই আরাম ধরে রাখতে পরার আগে এটি অবশ্যই ইস্ত্রি করে নিতে হবে। নয়তো লিলেনের কাপড় এতটাই কুঁচকে থাকবে যে আপনাকে লজ্জায় পড়তে হবে। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়।

সিফন জর্জেট: ফিনফিনে এই কাপড়টি শাড়ি কিংবা ওড়না তৈরিতে বেশি কাজে লাগে। কেউ আবার শখ করে কামিজ বা গাউনও পরে থাকেন। এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

লাইক্রা: এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভালো। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

Advertisement

এইচএন/পিআর