নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ৫ বছরে ১৭টি ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ১০টি ফেরি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। যা যাত্রী পারাপারে ভোগান্তি কমাবে।শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দৌলতদিয়া রেস্ট হাউজ প্রাঙ্গনে মন্ত্রীকে গার্ড-অব-অনার দেওয়া হয়।তিনি বলেন, ঈদে এ অঞ্চল হতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির গরুর গাড়ির ট্রাককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি এর মিজানুর রহমান, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলাবাসী রিলিফ চাই না, স্লিপ চাই না, নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই এই প্রতিপাদ্য লিখিত একটি ব্যানার নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন।এছাড়া পরিদর্শনে মন্ত্রী আরোও বলেন, কোনো ফেরি ঘাট যদি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব মেরামত করার জন্য। এবারে নদীতে যে স্রোত আর বৃষ্টি এ কারণে প্রিডিকশন করা যাচ্ছে না। মাওয়া রুটের যে ফেরি এখানে আনা হয়েছিল তা আবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে কারণ ঈদে তো সব রুটে ফেরি চালাতে হবে।আবহাওয়া খারাপ থাকলে যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হবে। আর অতিরিক্ত যাত্রী যেন না নেয়া হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে এবং মোবাইল কোট করা হবে। গতবার এ রুটে যতগুলো ফেরি ছিল এবারও সেগুলোই চলবে এখানে। ঘাট এলাকায় যেন ভাঙন না দেখা দেয় আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।রুবেলুর রহমান/এমজেড
Advertisement