বাংলাদেশের মানবাধিকার, অর্থনীতি গণতন্ত্র এখন হুইলচেয়ারে বলে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের চোখের ঘুম ও মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সোহেল বলেন, আজকে যখন আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি, ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পিজি হাসপাতালের ছোট্ট একটি কক্ষে অবস্থান করছেন। আমাদের নেত্রী হুইলচেয়ারে থাকা মানে বাংলাদেশের মানবাধিকার হুইলচেয়ারে, বাংলাদেশের মানবাধিকার হুইলচেয়ারে, বাংলাদেশের অর্থনীতি হুইলচেয়ারে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হুইলচেয়ারে, সমগ্র বাংলাদেশ হুইলচেয়ারে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, আমাদের নেত্রী মুক্ত থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না। তিনি মুক্ত থাকলে ৭০০০ টাকায় বালিশ কেনা যায় না। ৩৭ লাখ টাকায় পর্দা কেনা যায় না। তিনি মুক্ত থাকলে শেয়ারবাজার লুট করা যায় না, তিনি মুক্ত থাকলে বাংলাদেশকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানানো যায় না। আজকে আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রেখে বাংলাদেশকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত করা হয়েছে। আমরা এটা কোনো দিনও মানতে পারিনা, এটা কোনোভাবেই হতে দেব না।
Advertisement
সোহেল বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য আজকে মায়েরা কান্না করছে, বাবারা কান্না করছে, ভাইয়েরা কান্না করছে, বোনেরা কান্না করছে। লাখ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের চোখের ঘুম ও মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। আজকের এই সমাবেশ থেকে বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনা যদি অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেন, আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী রাজপথে রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, মো. শরিফুল আলম কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেব দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement