জাতীয়

নদীগুলো শিল্পপতি-ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের কবলে

নদী দখল বন্ধ করে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন নদী রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বুধবার রাজধানীর ডিআরইউতে বিশ্ব নদী দিবস- ২০১৯ পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

Advertisement

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব নদী দিবস। নদী একটি জীবন্ত স্বত্ব, এর আইনি অধিকার নিশ্চিত করুন- এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশের নদী রক্ষা সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ দিনটি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ব নদী দিবস পালন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, বর্তমানে দেশের নদীগুলো শিল্পপতি ও ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের কবলে। সরকারের ওপর মহল থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে নিচের স্তরে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শুধুমাত্র প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে একদিকে নদী দখল করা হচ্ছে অন্যদিকে আবার নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে করে নদী রক্ষায় কোনো সুফল বয়ে আনছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের নদী রক্ষায় বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। দুর্নীতিবাজ আমলা ও ক্ষমতাসীনদের কারণে নদী দখল রোধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নদী রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। নদী দখলকালীদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা তৈরিতে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে সারা দেশে ৪ হাজার ৪৪৩ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

আলোচকরা বলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস পালিত হলেও ২১ সেপ্টেম্বর নদী রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হবে। ঢাকায় ৭০টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয়ভাবে সকালে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে জমায়েত হয়ে পদযাত্রা শুরু করে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে এ পদযাত্রা শেষ হবে। এরপর নদী রক্ষায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হবে। এতে নৌ-পরিহবন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহামুদ সুজনসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার করা রয়েছে।

এছাড়া দেশের সব নদী প্রেমী মানুষদের এদিন সমাবেত হয়ে নদীর সামনে দাড়িয়ে দখলের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান করা হয়েছে। এ আয়োজন ধারণ করে তা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাফা) ইমেল আইডিতে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস, বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল, বিভারাইন পিপলের প্রধান নির্বাহী শেখ রোকন প্রমুখ।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement