ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে পরিবর্তন আনার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নিজের বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত শনিবার গণভবনে দলের এক বৈঠকে শেখ হাসিনার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নানা কর্মকাণ্ডে বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী কমিটি ভেঙে দেয়ার এই নির্দেশ দেন বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কি-না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচাই-বাছাই করে ছাত্রলীগের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচন করেছেন। আমি নেত্রীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়েছি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, ইউনিভার্সিটি ও সিটি উত্তর-দক্ষিণ একসঙ্গে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিদের নাম ঘোষিত হয়েছিল। এটা নেত্রী নিজেই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।’
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন যদি ছাত্রলীগের এই কমিটির ব্যাপারে নতুন কোনো বিবেচনা আসে, সংযোজন বা পরিবর্তনের কোনো প্রশ্ন আসে, আমি মনে করি নেত্রী নিজেই করতে পারেন। যেহেতু কমিটিটা তিনিই করেছেন, কাজেই কমিটির ব্যাপারে কোনো পরিবর্তন বা সংশোধন-সংযোজনের প্রয়োজন হয় সেটা নেত্রী নিজেই করবেন। এবং নেত্রী নিজে করাটাই সঙ্গত।’
ছাত্রলীগের আগাম সম্মেলনের কোনো সম্ভবনা আছে কি না- জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমি এই ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাইনি, পেলে জানাব।’
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনিয়মের বিষয়গুলো আপনি কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমাদের পার্টির একদম ইন্টারনাল ব্যাপার। ছাত্রলীগের বিষয়টি নেত্রী সরাসরি নিজেই দেখেছেন। বিষয়টি এখন যে পর্যায়ে আছে, সিদ্ধান্ত আকারে কোনো কিছু যদি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় না যায়, এর আগে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’
Advertisement
ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডে আপনারা সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই মন্তব্য এখন করব না। আমি সব সময় ভালো কাজের প্রশংসা করি, দলের ভেতরেও খারাপ কাজ হলে ডিসিপ্লিন ভঙ্গ হলে সেজন্য যদি কাউকে তিরস্কার করতে হয়, আমি সেটার পক্ষে। ভালো কাজের পুরষ্কার দেয়া উচিত। এটা আমরা আওয়ামী লীগে করে থাকি।’
আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ