ক্যাম্পাস

ভিসির চিরকুট দেয়ার বিষয়টি অসত্য : দাবি ঢাবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই উপাচার্যের ‘চিরকুটে’ ৩৪ জন নেতার ভর্তির বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া উপাচার্যের চিরকুট দেয়ার বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করা হয়।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কতিপয় দৈনিকে দু’দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে কথিত চিরকুটে ভর্তি বিষয়ে প্রকাশিত একটি খবরের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। খবরটির মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উপাচার্য কোনো বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এ ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো ‘চিরকুট’ বা কোনো নির্দেশনা কখনো কাউকে দেননি, দেয়ার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যকে জড়িয়ে কোনো অসত্য, দায়িত্বহীন বক্তব্য ও তথ্য প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, সকল সান্ধ্যকালীন/প্রোফেশনাল একাডেমিক কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Advertisement

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন

এদিকে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইতুল ইসলাম। যথাযথ নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইতুল বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার্ড। তাই তাদের আলাদা ভর্তি পরীক্ষা দেয়া অযৌক্তিক। ইভিনিং প্রোগ্রাম অনুষদের নিজস্ব প্রোগ্রাম বিধায় আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সার্কুলারের বাইরেও ভর্তি করানোর সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছে, দ্বিতীয়বার দেয়ার যৌক্তিকতা নেই।’

এ ছাড়া উপাচার্যের চিরকুট দেয়ার বিষয়টিও অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement

একটি জাতীয় দৈনিকে গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বিগত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতার ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে একটি সান্ধ্য প্রোগ্রামে ভর্তির তথ্য বেরিয়ে আসে। তফসিল ঘোষণার পর তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১০ জন কেন্দ্রীয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৮ জন নির্বাচিত হন।

এনডিএস/জেআইএম