দেশজুড়ে

পদ্মায় গরু বোঝাই ট্রলারে ডাকাতি!

মাদারীপুরের শিবচর মাদবরচর হাট থেকে গরু বোঝাই একটি ট্রলারে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়ে মাদবর চর হাট কতৃপক্ষ শিবচর থানা পুলিশকে অবহিত করে। এ ঘটনায় শিবচর থানা পুলিশ রাতে নদীতে ট্রলার ও স্পিড বোট দিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোথায়, কখন, কিভাবে ডাকাতি হয়েছে এ ব্যাপারে কোনো ঘটনার হদিস করতে পারেনি বলে পুলিশের দাবি। মাদবরচর হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গফুর মাঝির বড় আকারের একটি গরু বোঝাই ট্রলার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাদবচরচর হাট থেকে লৌহজংয়ের বালিগ্রাম হাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ওই ট্রলারে কতগুলাে গরু ছিল তা স্পষ্ট করে করে কেউ বলতে পারছে না। তবে স্থানীয়রা জানান, ওই ট্রলারে ষাঁড়ের সংখ্যা ছিল কম। বেশির ভাগই ছিল বকনা বাছুর। কিন্তু রাতে পদ্মায় গরু বোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা বলে দাবি গরু ব্যাসায়ীদের অভিযোগ। ডাকাতরা পাইকারদের কাছ থেকে মোবাইল টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। তবে কি পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারছে না।এদিকে, লৌহজং এলাকার একটি সূত্র দাবী করছে ডাকাতির শিকার হওয়ার ওই ট্রলারটির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ওই ট্রলারের থাকা গরু ব্যবসায়ীসহ গরু বোঝাই ওই ট্রলারের কোন সন্ধান করতে পারেনি কেউ। তবে ওই ট্রলারে প্রায় ৯৬টি গরু ছিল বলে তাদের দাবি।   মাদবচরহাট এলাকার বাসিন্দা মিন্টু হাওলাদার, গরু ব্যাবসায়ী শাজাহান মাদবরের ছেলে বাবু মাদবর একই এলাকার সাইফুল মিয়া জাগো নিউজকে জানান, গতকাল ছিল মাদবরচর সাপ্তাহিক হাটবার। ওই হাটে গরুর হাট বেশ বড়। এ হাটে অনেক পাইকার আসে। এই হাট থেকে গরু কিনে পাইকাররা ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজংসহ বিভিন্ন কোরবানির হাটে বিক্রি করতে নেয়। তাদের কাছে রাতে খবর আসে রাত প্রায় ১১টার পরে লৌহজং এলাকার গফুর মাঝির ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা শিবচর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও পদ্মা ডাকাতির শিকার ওই ট্রলারের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদবচরচর হাটের ইজারদার আবদুল হাই শিকদার এ ডাকাতির ঘটনা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি শুক্রবার শুনেছেন বলে তিনি জানান।  শিবচর থানা পুলিশের ইনচার্জ আবদুস সাত্তার মিয়া জাগো নিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদবরচর এলাকা একটি গরু বোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার লোকজন আমাকে মোবাইলে জানান। খবর পেয়ে সঙ্গে নদীতে পুলিশের একটি দল পাঠাই। কিন্ত ডাকাতির ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যাওয়া যায়নি। এমনকি নদীর মধ্যে গফুর মাজির মালিকানাধীন কোনো ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায় নাই। এ ব্যাপারে জানার জন্য গফুর মাঝির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/পিআর

Advertisement