দেশজুড়ে

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গুলি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ পেছন থেকে ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে বিকট শব্দে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ঝিনাইদহ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে আমরা সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে শহরের থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। এরা সবাই হামিদুল ইসলাম হামিদের সন্ত্রাসী ক্যাডার। আমাদের পাল্টা প্রতিরোধে তারা পিছু হটে।

Advertisement

এদিকে সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, ‘আমি মারামারির বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে রনি নামে আমার এক কর্মী আহত হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ কারা ঘটিয়েছে এটা আপনি সাংবাদিক হিসেবে লিখবেন।’

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, নবগঠিত ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষ করে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আমি থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। এরা সবাই ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে পদ না পাওয়া হামিদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমবিআর/এমএস

Advertisement