আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাড়ী যেতে রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে টিকিট সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোতে। যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার্থে বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করলেও তৃতীয় দিনেও কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশিদের কোনো ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।মতিঝিল কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তেমন সাড়া নেই যাত্রীদের। যারাই আসছেন নগদে কেউ টিকিট সংগ্রহ করছে না। বুকিং দিয়ে চলে যাচ্ছেন। সরেজমিনে শুক্রবার দুপুরে বিআরটিসির কমলাপুরস্থ মতিঝিল ডিপোতে দেখা যায়, বেশ কিছু যাত্রী বসে রয়েছেন কাউন্টারের সামনে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা মুকুল নামে এক যাত্রী দুপুরে ফিরতে বসে আছেন কাউন্টারের সামনে যাত্রী ছাউনিতে।তিনি জানান, ঈদের যাত্রী আমি নই। এসেছিলাম কৃষি ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা দিতে। সকালে পরীক্ষা শেষে এখন বি.বাড়িয়া গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। মতিঝিল বাস ডিপোর অপারেশন ম্যানেজার মো. নায়েব আলী জাগো নিউজকে বলেন, টিকিট প্রত্যাশীদেরা ভিড় নেই। শুক্রবার সারাদিনে বিভিন্ন রুটে ২৫ টি টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি। কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকে অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও গত তিন দিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৫ টি।ডিপো সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল ডিপো থেকে কুটিচৌমোহনী, বি.বাড়িয়া, দাউদকান্দি, কুটিয়াদী, নেত্রকোনা, নালিতাবাড়ী, তারাকান্দা, মদন, কলমাকান্দা, টুংগীপাড়া, খুলনা, বেনাপোল, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ, বরগুনা, ইলিয়টগঞ্জসহ ১৫টি রুটে বাস চলাচল করবে এবার। কমলাপুরস্থ মতিঝিল বিআরটিসি ডিপোর কুমিল্লা রুটের ম্যানেজার মো. সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, এবারের ঈদে বিআরটিসির স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় পাঁচশ বাস এবং ঢাকার বাহিরে জেলা হতে চারশ বাস চলবে। মতিঝিল ডিপো থেকে একশ ২০টি গাড়ী যাতায়াত করবে।বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন ও অপারেশন) শামসুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, টিকিট পর্যাপ্ত রয়েছে। কোনো যাত্রীই এখান থেকে খালি হাতে ফেরত যাবেন না।জেইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement