আন্তর্জাতিক

প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করছে

বিশ্বজুড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহননের পথ বেঁছে নিচ্ছেন। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা হু গোটা বিশ্বের আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্লেষণ করে গতকাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, প্রতিবছর যুদ্ধের কবলে পড়ে যত মানুষের প্রাণহানি ঘটে তার চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি।

Advertisement

সোমবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনেটি প্রকাশ করেছে। অবশ্য আগের তুলনায় বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছে। তবে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষের আত্মহত্যার বিষয়টিকে মারাত্মক ইস্যু বলে অভিহিত করেছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।

হু বলছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আত্মহত্যা কোনো অপ্রতিরোধযোগ্য বিষয় নয়। সবাই চাইলে এ মৃত্যুকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু এর জন্য দরকার সদিচ্ছা এবং যথাযথ পদক্ষেপ।

আত্মহত্যা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করলো হু। সংস্থাটি বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক আত্মহত্যার হার ৯.৮ শতাংশ কমেছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, আমেরিকা অঞ্চলে আত্মহত্যার হার আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

Advertisement

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস দিয়ে, বিষ খেয়ে ও নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলাই আত্মহত্যার সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। জনগণকে চাপ সামলাতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাসে আত্মহত্যা প্রতিরোধ পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হু।

সংস্থাটির মহাপরিচালক ডা. টেডরোস আধানোম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘প্রত্যেকটি মৃত্যু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবার, বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য শোকের। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আমরা সকল দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন আত্মহত্যা প্রতিরোধ পরিকল্পনাকে জাতীয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিকল্পনার সঙ্গে স্থায়ীভাবে যুক্ত করে।’

প্রতিবছর গোটা বিশ্বে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। ম্যালেরিয়া, স্তন ক্যানসার, যুদ্ধ কিংবা নরহত্যাতেও বছরে এত মানুষের প্রাণহানি ঘটে না। হু বলছে, এটা গোটা বিশ্বের জন্য একটি মারাত্মক ইস্যু। মাত্র ৩৮টি দেশে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কৌশল গ্রহণ করেছে।

গোটা বিশ্বে নারীর চেয়ে পুরুষরা বেশি আত্মহত্যা করে। প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৭.৫ জন আত্মহত্যা করে। পুরুষের ক্ষেত্রে সেটি ১৩.৭ জন। শুধু বাংলাদেশ, চীন, লেসোথো, মরক্কো এবং মিয়ানমারে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করে।

Advertisement

এসএ/পিআর