কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের ব্যক্তিগত গাড়িতে তার পাশে বসাকে কেন্দ্র করে এক সহ-সভাপতির মাথা ফাটালেন আরেক সহ-সভাপতি।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির
জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে মধুর ক্যান্টিনে না আসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর আজ ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন তার অনুসারীদের নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসেন। সেখান থেকে ফেরার পথে শোভনের ব্যক্তিগত গাড়িতে তার পাশে নিয়ে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির ও আরেক সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে একে অপরের ওপর হামলা চালান। হামলার এক পর্যায়ে জহিরের ইটের আঘাতে বিদ্যুতের কপাল ফেটে রক্ত বের হতে থাকে।
Advertisement
পরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন গাড়ি থেকে নেমে এসে জহিরকে তার বাসায় নিয়ে যান এবং বিদ্যুতকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পাঠান। তাদের দুজনকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন শোভন। ঘটনায় জড়িত দুই সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী।
এ বিষয়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমরা খুব ঝামেলায় আছি। এ বিষয়ে নিউজ কইরেন না ভাই!
এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত ইনকিলাবের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নুর হোসাইন ইমনের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় এ নুর হোসাইনকে জোর করে শোভনের গাড়িতে উঠিয়ে ভিডিও ডিলিট করিয়ে নেন।
এমএসএইচ/এমএস
Advertisement