টেস্ট শেষ। আফগানিস্তানের কাছে লজ্জার এক হার বাংলাদেশের। তবে ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকলে তো হবে না, এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। টেস্ট ভুলে তাই এখন টাইগারদের সব মনোযোগ আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
Advertisement
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছে আফগানিস্তানও। তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজ শুরু ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। যে সিরিজকে সামনে রেখে ১৩ সদস্যের দলও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দলে সবচেয়ে বড় চমক ২০ বছর বয়সী পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু। নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া এই তরুণ ঘরোয়া ক্রিকেটে এসেছেন বেশিদিন হয়নি। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭টি প্রথম শ্রেণির আর ৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ।
তবে কি দেখে তাকে বড় মঞ্চে তুলে আনতে চাইছেন নির্বাচকরা? কিছু একটা তো তারা দেখেছেনই! মিশু আসলে প্রথম নজরে আসেন গত বছর। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, যা লিস্ট ‘এ’তে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
Advertisement
ওই এক ম্যাচই জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছে মিশুর। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ডানহাতি এই পেসার তখন থেকেই নির্বাচকদের নজরে। অবশেষে ডাক পেলেন টি-টোয়েন্টিতে, অভিষেক হওয়ারও জোর সম্ভাবনা আছে।
মিশুর ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। পড়ালেখা ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন খেলার মাঠে। তার ক্রিকেটের প্রতি এমন আগ্রহ প্রথম চোখে পড়ে গৃহশিক্ষকের। তিনিই তার বাবা মাকে পরামর্শ দেন ছেলেকে বিকেএসপিতে পাঠানোর। পরবর্তীতে বিকেএসপিতে ভর্তি হন মিশু। সেখান থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসা।
এবার কম বয়সেই তার অভিষেক হয়ে যেতে পারে জাতীয় দলে। পরের কাজটা কিন্তু করতে হবে মিশুকেই। দেখিয়ে দিতে হবে, হারিয়ে যেতে আসেননি। যাকে আদর্শ মানেন, সেই মাশরাফি বিন মর্তুজার মতোই বিশ্ব ক্রিকেট কাঁপিয়ে দিতেই এসেছেন।
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement