আন্তর্জাতিক

এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের আরও কঠিন হুঁশিয়ারি অমিত শাহর

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসবেই। কিন্তু তার জেরে কোনো রাজ্যের নিজস্ব আইন বা ওই রাজ্যের মানুষের অধিকার খর্ব হবে না। কেন্দ্র আসাম থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ালেও তারা পাশের রাজ্যে ঢুকে বাঁচতে পারবে না। এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের বিরুদ্ধে এমনই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

সোমবার গুয়াহাটিতে নেডার (নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) চতুর্থ অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অধিবেশনে আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন।

অধিবেশনে অমিত শাহ আরও বলেন, সংশোধনী বিলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তারিখ বেঁধে দেয়া হচ্ছে। তাই বিদেশ থেকে আসা হিন্দুদের মোটেই নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।

এই প্রথম উত্তর-পূর্বে ৮ রাজ্য একই রাজনৈতিক মঞ্চের শাসনাধীন। ২০১৬ সালে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নেডা জোট গঠন করেছিলেন তদনীন্তন বিজেপি সভাপতি অমিত, মাত্র তিন বছরের মাথায় সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল আনার পরে নেডা ভাঙতে বসে। তবে বিল পাস না হওয়ায় নেডা রক্ষা পায়।

Advertisement

বৈঠকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, ‘মেঘালয়ে নিজস্ব আবাসিক সুরক্ষা আইন আছে। তিন রাজ্যে আইএলপি রয়েছে। আছে ষষ্ঠ তফশিলের সংরক্ষণ। রাজ্যের আইন ও স্থানীয় জনজাতির অধিকার খর্ব করে যদি কেন্দ্রীয় আইন চাপানো হয়, তা নিয়ে আমরা আশঙ্কায় আছি। আসামের এনআরসিতে বাদ পড়ারা মেঘালয়ে ঢুকতে থাকলেও বিপদ।’ একই আশঙ্কার কথা জানান নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরাও।

মুখ্যমন্ত্রীদের কথা শুনে অমিত শাহ বলেন, কোনো অনুপ্রবেশকারীকে আসাম থেকে পালিয়ে পাশের রাজ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না। ৩৭১ অনুচ্ছেদ উত্তর-পূর্বের স্থায়ী ও বিশেষ ধারা। তা বজায় থাকবেই। রাজ্যগুলোতে নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ষষ্ঠ তফসিল ও স্থানীয় আইনে হাত পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরকে ভিত্তি তারিখ রেখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনা হবে। তারপরে ভারতে ঢোকা কেউ নাগরিকত্ব পাবে না। নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া কেউ ইনারলাইন আইনের আওতায় থাকা রাজ্যে বাড়ি কিনতে বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবে না।

মুখ্যমন্ত্রীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার জানায়, নিজের রাজ্যে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে ফের বৈঠকে বসবেন তারা।

এদিকে সাংবাদিকদের কাছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ বলেছেন, মণিপুরেও তারা আসামের মতো এনআরসি চান।

Advertisement

এসআর/এমকেএইচ