নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গত এক দশকে রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
সোমবার সংসদের সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারী ও সাব-স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। ওই সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সমীক্ষা প্রস্তাব পুনর্গঠন করে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পর্যায়ক্রমে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর অংশ হিসেবে গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ এ ট্রেন প্রথম চালু করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় নারায়ণগঞ্জ-চট্টগ্রাম পর্যন্ত সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারী ও সাব স্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটনারী ও সাব স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে পুনরায় পিইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সমীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন সার্ভিস চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
এইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ