দেশজুড়ে

বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে তরুণীর অনশন

বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ১০ দিন ধরে অনশন করছেন এক তরুণী (২০)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতা তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তরুণীর।

Advertisement

এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সজলের (২৫) কানিকশালগাঁও গ্রামের বাড়িতে অনশনে বসেন তরুণী।

তরুণীর ভাষ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সজল আমাকে ধর্ষণ করে। আমি তাকে বিয়ে করতে বলেছি। কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি। এ অবস্থায় আমি তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছি। আমি তাকে বিয়ে করব। অন্যথায় এখানেই আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করব।

ওই তরুণী আরও বলেন, এর আগে সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছি। ওই মামলার তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সজল জামিনে মুক্ত হওয়ার দিন থেকে অনশন শুরু করি আমি। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় থানায় মামলা করেছি। জেলে থাকার সময় সজল বলেছে, সে যেদিন জেল থেকে বের হবে সেদিন যেন আমি তার বাড়িতে যাই। তাই এসেছি। কিন্তু এখনো আমাকে বিয়ে করেনি সজল।

Advertisement

এ বিষয়ে সজলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তরুণীর অনশনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সজলের বাবা হামিদুল ইসলাম বলেন, ৩১ অগাস্ট থেকে আমার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই তরুণী।

সজলের মা সাহেরা বানু বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এটা সত্য। গত ২৪ জুন ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটকে রাখে। তারা বিয়ের জন্য সজলকে চাপ দেয়। সে রাজি না হওয়ায় ২৬ জুন সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। ধর্ষণ মামলায় আমার ছেলে ৬১ দিন কারাগারে ছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ৩১ আগস্ট সজল বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পর তার প্রেমিকা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সে তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।

১ নম্বর রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু, ২১ নম্বর রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন ও সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মুকুল বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। মেয়ে পক্ষ সমাধানে রাজি হয়েছে; তবে ছেলে পক্ষ রাজি নয়।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাইনি আমরা। শুনেছি ওই তরুণী অনশনে করছে।

Advertisement

এএম/এমকেএইচ