আন্তর্জাতিক

মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক চরম তিক্ততায় মোড় নিয়েছে। দু'দেশই একে অন্যকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। এর মধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মাসুদ আজহার পাকিস্তানের জেলে নয় বরং জইশ-ই-মুহাম্মদের সদর দফতরে রয়েছেন।

Advertisement

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, শিয়ালকোট-জম্মু ও রাজস্থান সীমান্তে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান এই জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগিতা করতেই ওই দুই সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত শুক্রবার এক সভায় কাশ্মীরের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে সেখানে দমন-পীড়ন চালানোর জন্য ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরিদের ওপর চালানো নির্যাতন বিশ্ব সম্প্রদায় চুপচাপ দেখে যাচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হবে না। নির্যাতিত এসব মানুষ এক সময় ঘুরে দাঁড়াবেই।

দু'দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই জইশ প্রধানকে গোপনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ঘটনার পর নানা মহলের চাপে পড়ে মাসুদকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

Advertisement

ভারতে একাধিক জঙ্গি নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের পর তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ভারত সরকার। ছাড়া পেয়েই একের পর এক জঙ্গি হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারতের দাবি, ২০০১ সালে ভারতের সংসদ হামলা, ২০০৫ সালে অযোধ্যা হামলা ও সাম্প্রতিক কালে ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ছাউনিতে হামলার পেছনে দায়ী মাসুদ আজহার।

২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পাঠানকোট এবং উরিতে হামলার ঘটনা ঘটে। পাঠানকোটে ৭ জন এবং উরিতে ১৯ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে জইশ জঙ্গিরা। ২০১৯ সালে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পুলওয়ামায় ৪০ জনের বেশি জওয়ানে মৃত্যু ঘটনাতেও জইশের নাম উঠে আসে।

টিটিএন/এমএস

Advertisement