অর্থনীতি

বিক্রয়যোগ্য হলো ভিএফএস থ্রেডের প্লেসমেন্টের দুই কোটি শেয়ার

প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করা ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ২ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার বিক্রয়যোগ্য বা লক ফ্রি হয়েছে।

Advertisement

কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে শেয়ারগুলো লক ফ্রি হলো। এর ফলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ারগুলো শেয়ারবাজারে বিক্রি করা যাবে।

কোম্পানিটির আইপিওপূর্ব ৬ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৮০০টি শেয়ার ছিল। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০টি শেয়ার আছে। এ শেয়ারগুলো ৩ বছর লক ইন (বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা) থাকবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিক্রয়যোগ্য হবে।

বাকি ২ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে বিক্রি করা হয়, যা ১ বছর শকিং থাকে। গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এই লকিংয়ের মেয়াদ শেষ হয়। এর ভিত্তিতে আজ থেকে শেয়ারগুলো বিক্রয়যোগ্য হলো।

Advertisement

পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, উদ্যোক্তা ও পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারণকারীদের জন্য ৩ বছর লক-ইন প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারণকারীদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারে লক-ইন ৩ বছর, আইপিওর ৪ বছরে আগে ইস্যুকৃত শেয়ারে ১ বছর, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে ১ বছর ও বাকি শেয়ারে ২ বছর লক-ইন রাখা হবে, যা কোম্পানির লেনদেনের প্রথম দিন থেকে হিসাবযোগ্য।

ভিএফএস থ্রেডের প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর ৫ বছরেরও পরে কোম্পানিটি আইপিও অনুমোদন পেয়েছে, যে কারণে কোম্পানিটির প্লেসমেন্ট শেয়ারের ক্ষেত্রে লক-ইন ১ বছর প্রযোজ্য। কোম্পানিটির আইপিওপূর্ব সর্বশেষ শেয়ার ইস্যু করা হয় ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর।

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়কে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়।

বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে আইপও’র মাধ্যমে ১০ টাকা মূল্যে ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ২২ কোটি টাকা উত্তোল করেছে কোম্পানিটি। এ টাকা দিয়ে ভিএফএস থ্রেড ডাইং যন্ত্রপাতি ও সরাঞ্জম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খাতে ব্যয় করা হবে।

Advertisement

এমএএস/জেডএ/এমকেএইচ