ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেমন-তেমন, ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেস বোলাররা একপ্রকার ব্রাত্যই বলা চলে। গত বছর তবু একাদশে অন্তত এক পেসার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ঘরের মাঠে সবশেষ দুই টেস্টে একাদশে রাখা হয়নি কোনো বিশেষজ্ঞ পেসারকে। যা জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের।
Advertisement
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অন্তত নতুন বলটা কাজে লাগানোর জন্য হলেও পেসারদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশ দলে রাখা হয়নি একজনকেও। যে কারণে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ, টানা বোলিং করতে হয়েছে স্পিনারদেরই।
এ অবস্থায় দলে পেসার থাকলে ভালো হতো কি-না, এমন প্রশ্ন যেন অসন্তুষ্টই করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার মতে, পেসাররা একাদশে জায়গাই ডিজার্ভ করে না। যে কারণে রাখা হয় না তাদের। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমি যেটা ম্যাচের আগের দিনও বলেছি, পেসারদের জায়গাটা ডিজার্ভ করতে হবে তো, নাকি।’
এ সময় বাংলাদেশের পেসারদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সাকিব, জানান-পেসারদের খেলালে হয়তো একদিনেই ৪০০ করে ফেলবে প্রতিপক্ষ দল। সাকিবের ভাষ্যে, ‘আজকেই আমি পেসারদের পরিসংখ্যান দেখছিলাম। আমাদের পেসারদের ইকোনমি ৪.৪১। ওরা যদি পুরো ৯০ ওভার বোলিং করে তাহলে একদিনেই রান দেবে ৪০০। আমরা তাহলে কিন্তু প্রথম দিনই টেস্টের বাইরে।’
Advertisement
এ কথা জানিয়ে সাকিব জানিয়ে দেন, পেসাররা নিজেদের পরিসংখ্যান ভালো করতে পারলে, অবশ্যই সুযোগ দেয়া হবে। অধিনায়ক বলেন, ‘পেসারদের ইকোনমি রেট যদি ২.৮ কিংবা ২.৯ থাকে এবং ওরকম স্ট্রাইক রেট থাকলে তখনই না আমরা ওদেরকে নিতে পারব। আমাদের কোনো বোলার যদি আমাদের কাজেই না আসে, তাকে নিয়ে লাভটা কী?’
তবে সাকিব আশাবাদী বর্তমান পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টকে নিয়ে। তার বিশ্বাস, অচিরেই ভালোমানের পেসার পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, ‘শেষ কয়েক বছরে আমাদের হোম কন্ডিশনে যেসব ম্যাচ আমরা জিতেছি কয়টা পেস বোলার কতটা উইকেট নিয়েছে, কয় ওভার বোলিং করেছে কতো ইকোনমি রেটে সেটা জানা জরুরী। আমাদের যে নতুন পেস বোলিং কোচ আছে ও প্রতিদিন পেসারদের নিয়ে কাজ করছে। যে পরিমাণে হার্ডওয়ার্ক করছে, তাতে মনে হচ্ছে অচিরেই আমরা ভালো পেসার পেতে পারি।’
এ সময় টেস্ট জেতার জন্য বোলারদের ভ্যারিয়েশনের দিকে ইঙ্গিত করে সাকিব আরও বলেন, ‘একটা টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে আপনার সব ধরনের বোলার থাকতে হবে। আপনার রিস্ট স্পিনার থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো ১৪০-১৫০ গতিতে বল করার একজন পেসার থাকতে হবে। একটা বোলার থাকতে হবে যে সারাদিন বোলিং এক জায়গায় করবে, যেন রান না হয়। তারপর একটা দু’টা এক্স ফ্যাক্টর থাকতে পারে। যতদিন না হবে আমাদের নির্দিষ্ট প্ল্যান করে ম্যাচ জিততে হবে। যখন ওই পরিকল্পনা ঠিক না হবে, ততদিন এভাবেই যেতে হবে।’
এসএএস/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement