টেস্ট শুরুর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, সব ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই তার। এর বদলে তরুণ কাউকে দায়িত্ব দিয়ে গড়ে তোলার দিকেই বেশি জোর দিতে বলেছিলেন তিনি।
Advertisement
কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে যেন দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক চিত্র। মাঠের মধ্যে যেমন নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে, এবার মাঠের বাইরেও সতীর্থদের নেতা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। দলের ওপর থাকা চাপটা নিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন নিজের ওপরেই।
অলৌকিক কিছু না হলে, চলমান টেস্টে পরাজয়ই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ দলের জন্য। যা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে চতুর্থ দিনের পর। ম্যাচের এমন অবস্থায় দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে যেই আসতেন কথা বলতে, তাকে জর্জরিত হতে হতো সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন বাণে।
আর সেটি যেন হতে না হয়, তাই তিনদিনে দ্বিতীয়বারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাধারণত ম্যাচ শেষে সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই দলের অধিনায়ক। অথবা ম্যাচের মধ্যে কেউ অসাধারণ কোনো পারফরম্যান্স করলেও কথা বলতে আসেন সংবাদ মাধ্যমে।
Advertisement
কিন্তু আজকের আগেও ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। আবার এলেন আজকেও। অবধারিতভাবেই প্রশ্ন এলো, এর কারণ কী সতীর্থদের আড়াল করে নিজে সব দায়িত্ব নেয়া?
উত্তরে সাকিব বললেন, ‘সতীর্থদের ওপর থেকে চাপ কমানোর একটা উপায় বলতেই পারেন। আর মাঠের চাপ তো সবসময়ই থাকবে। এটা মেনে নিতে হবে, বেশি চিন্তা করার কিছু নেই।’
আর নিজেদের প্রত্যাশানুযায়ী মাঠে খেলতে না পারায়, দলের ওপর যে চাপ রয়েছে সেটাও মেনে নিলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, (চাপে আছি) অবশ্যই। যে ধরনের ম্যাচ আমরা আশা করেছিলাম, তার পুরো বিপরীত হলো। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাপ তো থাকবেই।’
কিন্তু আফগানিস্তানের মতো নবীন দলের বিপক্ষে এমন চাপে পড়া কি সামর্থ্যের অভাবের দিকে ইঙ্গিত দেয়? সাকিবের বিস্তারিত জবাব, ‘সামর্থ্য সবার ভেতরেই আছে। আমাদের দলে যত প্লেয়ার খেলছে, একমাত্র সাদমান বাদে এমন কেউ নাই যে বড় ইনিংস খেলে নাই বা দলকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল না কখনও। তারা যেহেতু পারে, তার মানে সামর্থ্য অবশ্যই আছে। একটা বিষয় হলো আপনার ট্যালেন্ট আছে এবং সেটা মাঠেও প্রদর্শন করা। আরেকটা হলো ট্যালেন্ট আছে কিন্তু সেটা কখনও দেখাতে না পারা। এটা খুবই সূক্ষ্ম একটা পার্থক্য। কিন্তু এটাই আপনার বড় খেলোয়াড় ও ছোট খেলোয়াড়দের আলাদা করে দেয়।’
Advertisement
এসএএস/এমএমআর/পিআর