ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট ঠেকাতে বিরোধীদের নির্ধারিত সময়সীমা পেছানোর অনুরোধে আনা একটি বিল আইনে পরিণত হলে তা মানতে রাজি না হন তাহলে কারাদণ্ড হতে পারে তার। দেশটির সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের সাবেক এক পরিচালক এ কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
কেন ম্যাকডোনাল্ড নামের ওই আইনজ্ঞ মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে স্থানীয় সময় শনিবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে যদি তিনি ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়াতে ইইউকে অনুরোধ না জানান।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এটা করেন তাহলে একটি আদালত এই নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা রাখে। তিনি আরও বলেন, ‘কোনো একটি আদালতের আইনটি অনুসরণ করা উচিত। যদি প্রধানমন্তী তা করতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে সেটা হবে আদালতের প্রতি অবজ্ঞা। ফলে তাকে কারাগারে নেয়া হবে।’
ম্যাকডোনাল্ড নামের সাবেক ওই কৌঁসুলি ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রসিকিউটরের পদে ছিলেন। ব্রেক্সিট কার্যকরে নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস পেছানো নিয়ে গত শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। আগামী সোমবার যা আইনে পরিণত হবে।
Advertisement
আইনের ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যদি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া (মূলত দেশটির সংবিধানের ৫০ নং অনুচ্ছেদ কার্যকর প্রক্রিয়া) পেছানোর আবেদন জানাতে বাধ্য থাকবেন।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকরে বদ্ধপরিকর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, মরে যাবেন, তবুও ব্রেক্সিট পেছাবেন না। তার এমন ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন দলের ২১ সদস্যের সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী বরিসের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বিরোধী দল।
ব্রেক্সিট কার্যকর ঠেকাতে বিরোধীরা আইন পাস করতে পারে, এমন শঙ্কায় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত করেছিলেন বরিস। কিন্তু সেই সময় আসার আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংসদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ায় সঙ্কটে পড়েছে বরিসের সরকার।
এসএ/পিআর
Advertisement