খেলাধুলা

‘আমি ১৫০ আর সৌম্য ১২০ অথবা বৃষ্টি’

চতুর্থ দিন শেষে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল। সংবাদ সম্মেলনে এসে তা অকপটে স্বীকার করে নিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে তিনি এও বিশ্বাস করেন, ক্রিকেটে অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষদিনে ২৬২ রান করাটা কি আদৌ সম্ভব?

Advertisement

বেশ কঠিন হলেও, অসম্ভব তো নয়। আর এটি সম্ভব করতে হলে কী প্রয়োজন? উত্তর দিলেন সাকিব। তার ভাষ্যে, ‘রান কত দরকার? ২৭০ (আসলে ২৬২)... দুইজনের একশ-একশ করে করতে হবে। আবার একশ-একশও না, একজনের ১২০ আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে (হাসি)।’

কিন্তু এটা কী আদৌ সম্ভব? মুখে হাসি রেখে সাকিব বলে চললেন, ‘দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কী হয়। আরেকটা আছে ওপরে বৃষ্টি, ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।’

বাংলাদেশ যদি সত্যিই বাকি থাকা ২৬২ রান তাড়া করে জিততে চায়, তাহলে তাদের সামনে অনুপ্রেরণা রয়েছে নিজেদের অতীতেই। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২২৪ রানের রেকর্ড জুটিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দুজনই করেছিলেন সেঞ্চুরি।

Advertisement

সাকিবের মাথায় কি সে ম্যাচ ফেরানোর পরিকল্পনা? তিনি উত্তরে বলেন, ‘কার্ডিফ ফিরতে অন্য পাশে থাকা লাগবে একজন। দুইজনেরই একসঙ্গে করা লাগবে। আমি যদি ১৭০ করি ওর (সৌম্য) অন্তত ১২০ তো করা লাগবে। তারপর আমরা জিততে পারব। কিংবা আমার ১৫০ আর ওর ১২০ করা লাগবে। অসম্ভব না কিন্তু অনেক কঠিন কাজটা।’

অনেক আশার বাণী শোনালেও, বাস্তব দৃষ্টি থেকে ম্যাচের ফল যে এখন উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে- তা মেনে নিয়েছেন সাকিব। তবে শেষপর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতাটা তিনি দেখাতে চান শেষদিন খেলার মাঠে।

টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এখন বাস্তব রেজাল্ট তো আমরা এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর দৃষ্টি না দেন, তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি। এখানেও আসলে একটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায়। আমরা যে ৪ জন বাকি আছি, তারা যদি কিছু একটা করে দেখাতে পারি। বা কিছু করতে না পারলেও, লড়াই করার যে মানসিকতা, আমরা যে এতোদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, এটলিস্ট ঘরের মাঠে ভালো কিছু করেছি, তার যে একটা প্রমাণ অন্তত আমরা রেখে যেতে পারি। হয়তো হারতে পারি, তবে ঐ যে লড়াই করার যে একটা ছাপ, সেটা যেন আমরা দেখাতে পারি।’

এসএএস/এমএমআর/পিআর

Advertisement