দেশজুড়ে

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে টয়লেটে মশারি

ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এডিস মশা নিধনে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে চলছে মশা নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে আতঙ্কের কিছু নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেই ডেঙ্গু নির্মূল সম্ভব।

Advertisement

কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া আশ্বাসেও আশ্বস্ত হতে পারেননি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ঘোড়াপোতা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে সুমন হোসেন। তিনি ডেঙ্গুরোধে বাড়ির টয়লেটে মশারি ঝুলিয়েছেন। যা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এলাকার অন্য বাসিন্দারাও।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন জানান, গ্রামাঞ্চলে মশার প্রকোপ শহরের থেকে অনেক বেশি। চারপাশে বাগান থাকে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সুমন তার টয়লেটে মশারি ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এটা দেখে এলাকার অন্য মানুষও উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হচ্ছে।

নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশরা সচেতনতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছে। বিদ্যালয়গুলোতে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমার ইউনিয়নে এখনও ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়নি। তবে কালীগঞ্জের অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। ডেঙ্গুর কারণে উপজেলাব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে কালীগঞ্জে একজন মারাও গিয়েছে।

Advertisement

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৈয়েবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত কালীগঞ্জে ১১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে চারজন। উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের সিরাজুল গাজীর ছেলে মাদরাসা ছাত্র আলমগীর গাজী (১৪) খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সে কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আতঙ্কের কিছু নেই। সকলকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও মশারি ঝুলিয়ে রাতে ঘুমানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সকলকে।

এদিকে, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, রোববার পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৩৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩১ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, তালা ও কালীগঞ্জ উপজেলায় চারজন মারা গেছে বলে শুনেছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আকরামুল ইসলাম/এমএএস/জেআইএম

Advertisement