অর্থনীতি

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের পাশে ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। অস্বচ্ছল রোগীদের সহযোগিতা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক ঢাকা শিশু হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে। এই অনুদান দিয়েছে শিশু-বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ তহবিলে।

Advertisement

৬৫০ শয্যাবিশিষ্ট শিশুদের জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি একটি ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়। মোট শয্যার ৪০ ভাগ শয্যায় ভর্তি শিশু রোগীরা চিকিৎসা খরচ-সহ বিছানা, ওষুধ, খাবার ও সার্জারি সেবা পান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এমনকি রোগীর সাথে থাকা অভিভাবকদের জন্যও রয়েছে বিনামূল্যে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা।

দেশের সব অঞ্চল থেকে হাজারো রোগী এই ফ্রি চিকিৎসা এবং দেশসেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ, চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানের জন্য এই হাসপাতালের ওপর আস্থা রাখেন।

ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা শিশু হাসপাতালে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিআরও চৌধুরী আখতার আসিফ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ শফী আহমেদের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

Advertisement

উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশনস ইকরাম কবীর এবং হেড অব সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট তাহমিনা জামান খান।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংক ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তার জন্য সিটি কর্পোরেশন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এই উদ্যোগের বিষয়ে চৌধুরী আখতার আসিফ বলেন, ‘এ বছর ডেঙ্গু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বর্ষার মৌসুমে এই রোগ চরম আকার ধারণ করেছে এবং অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই দূর্যোগের সময়ে জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসাকে আমরা আমাদের দায়িত্ব বলে বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারগুলোকে শক্তি জুগিয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সংকল্পবদ্ধ করবে। এই রোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। এজন্যই আমরা ঢাকা শিশু হাসপাতালের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজকল্যাণমূলক উদ্যোগটি যে জনগোষ্ঠীতে এবং যাদের সাথে আমরা কাজ করি তাদের কল্যাণে আমাদের দায়িত্বশীলতার একটি প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই সামাজিক উদ্যোগগুলো মানুষের জীবনকে বদলে দিবে এবং মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে।’

এমআরএম/জেআইএম