৯ দফা দাবি আদায়ে বান্দরবানে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে রোববার সকাল থেকে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
Advertisement
ধর্মঘটের কারণে আজ (৮সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কোনো ধরনের দূরপাল্লার বাস বান্দরবান ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী ও সাধারণ পর্যটকরা। ধর্মঘটের কারণে বান্দরবান শহর থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা-কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি সড়কে যাত্রীবাহী কোনো বাস চলাচল করছে না।
বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু দে জানান, পরিবহন মালিক সমিতির ৯ দফা দাবির সমর্থনে বান্দরবানেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তাদের ৯ দফা দাবি হচ্ছে-
Advertisement
১) গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কাগজপত্র যাছাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
২) বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইনে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনো জরিমানা আদায় করা যাবে না। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন করা যাবে না।
৩) চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় গাড়ির ইকোনমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ণ বন্ধ রাখা যাবে না। ৪) ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি ডাম্পিং করা যাবে না। সেই সঙ্গে ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে।
৫) সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।
Advertisement
৬) বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ সব ধরনের থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।
৭) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত ওয়েট স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে।
৮) মহাসড়কে পণ্য চুরি/ ডাকাতি রোধে বর্তমান আইনের পরিবর্তে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৯) মহাসড়ক ও মেট্রো শহর এলাকায় গণ ও পণ্য পরিবহন চেকিংয়ের নামে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে হয়রানি বন্ধ এবং নির্দিষ্ট দুটি স্থানে চেকিং পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
সৈকত দাশ/এমএমজেড/এমএস