জাতীয়

মোনাজাতের অনুমতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

আল্লাহর কাছে মোনাজাত করবে বলে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু তারা রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা বলেন।

সাক্ষাতের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু কথা হয়েছে। আমাদের কনসার্ন যেটা, এনজিও নিয়ে যে কথাবার্তা হচ্ছে আমরা কী দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি এবং কাদেরকে নিয়ে বলছি। আমরা মনে করছি, আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে তা খতিয়ে দেখছি। ইনফরমেশন সব সত্য হবে এমন তো কথা নেই, ইনফরমেশনের মধ্যে কিছু পাকিস্তানি এনজিও দ্য আর ক্রিয়েট ডিসটারবেন্স।

তিনি বলেন, 'দে আর ইনসাইটিং ভায়োলেন্স, রিসেন্টলি তারা আল্লার কাছে মোনাজাত করবে বলে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করেছে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে গেছে, এসব নিয়ে আমাদের একটা কনসার্ন আছে সেটা আমরা বলেছি, এক্সপ্রেস করেছি।'

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, তারা বলল, আমরা তো রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথম থেকেই তোমাদের সঙ্গে আছি, বাংলাদেশে যে পজিটিভলি রেসপন্স করেছে এটা রেয়ার, এটা অবশ্যই বাংলাদেশ প্রশংসার দাবিদার।

প্রত্যাবাসনে চাপ দিবে কি-না জানতে চাইলে কাদের বলেন, সেটা আমরা বলছি, সেটা তো তাদের সঙ্গে চায়নার ট্রেড ওয়্যার চলছে। আমাদের প্রতিনিধি দল চায়না গেছে। চায়নার মত বড় শক্তি মিয়ানমার তাদের বন্ধু দেশ, সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর প্রেসারটা আরও বেশি প্রয়োগ করে। এখানে ১১ লাখ লোক আমাদের ইকোলজি ট্যুরিজম অ্যাফেকটেড হচ্ছে। এত বড় বোঝা নিতে পারছি না।

তিনি বলেন, তারা প্রতিনিয়তই মিয়ানমারের ওপর প্রেসার করছে, যাতে তাদের ডিগিনিটি ও সেফটি ও সিটিজেটশিপ নিশ্চিত করে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এনজিও নিয়ে কি পর্যালোচনা করছে, আমরা কীভাবে কোন এনজিও চিহ্নিত করছি। এসব নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ আছে বলে মনে করি না।

Advertisement

এমইউএইচ/জেএইচ/পিআর