দেশজুড়ে

দুর্নীতির দায়ে বিএমডিএ’র ১২ প্রকৌশলী স্ট্যান্ড রিলিজ

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ মোট ১২ প্রকৌশলীকে বদলি পূর্বক স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে গত বৃহস্পতি ও রোববার পৃথক দুটি পত্রে এই আদেশ দেয়া হয়।

Advertisement

তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছেন- সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও তরিকুল ইসলাম (চলতি দায়িত্ব), ঠাকুরগাঁও সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, রাজশাহীর পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ ও দুর্গাপুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম।

এছাড়া রোববার স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান ও এনামুল কাদির (চলতি দায়িত্ব), রংপুর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর ইসলাম এবং নওগাঁ রিজিয়ন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক চৌধুরী।

সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে আলাদা এই আদেশ জারি করেন।

Advertisement

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বিএমডিএ চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সংস্থার একটি টিম রাজশাহীতে বিএমডিএ প্রধান কার্যালয়ের দুর্নীতি তদন্তে এসেছিলেন। এ সময় তারা বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পান।

এরপরই বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ৮ কর্মকর্তাকে বদলি পূর্বক স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দেন। রোববার নতুন করে আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তাদের মধ্যে প্রথম ৮ জনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আজকের (রোববার) মধ্যে এবং পরের চার জনকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিএমডিএ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অডিট আপত্তি, কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি প্রকৌশল ভবন নির্মাণ করেও সেখানে প্রকৌশলী না থাকা, পিপিআর অমান্য করে খণ্ড খণ্ড আকারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতি, গোদাগাড়ীতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার হিসেব জালিয়াতি, চলমান প্রকল্পে অনিয়ম, সরকারি পরিপত্র অমান্য করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল প্রদান ও পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহার।

ফেরদৌস সিদ্দিকি/এমএমজেড/এমএস