নগরীর খালিশপুর ক্লিনিকে রিপন (২৪) নামে এক পলিটেকনিক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাতভর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় রোগীর স্বজনরা মরদেহসহ কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর ও জোর করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খুমেক হাসপাতাল থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর মুজগুন্নী শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দা শওকত সর্দারের ছেলে ও সিটি পলিটেকনিকের ছাত্র রিপন সর্দারকে (২৪) বুকে ব্যথা অনুভব করায় রাত ১২টার দিকে খালিশপুর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিপনের মৃত্যু হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে রোগীর মৃত্যুতে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে মারধর করে চিকিৎসকসহ রিপনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানেও রোগীর স্বজনরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
খালিশপুর ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার পরে একটা রোগী আসে বুকে ব্যথা নিয়ে। তাকে সম্ভাব্য সব চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অস্ত্রের মুখে খুমেক হাসপতালে নিয়ে যায়। সে গুরুতর অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে অর্থপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
Advertisement
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমতাজুল হক বলেন, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও জিম্মি করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য কায়েস ও কৌশিক নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আলমগীর হান্নান/এমএমজেড/এমএস