একদিকে মসজিদ কমিটির ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা আবার অন্য দিকে কমিটিতে আসতে না পারার কারণে এবার মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে হচ্ছে ভোট। মসজিদ কমিটি গঠনে ভোটের আয়োজন মেনে নিতে পারেনি অনেক মুসল্লি। তাদের ভাষায়-‘আল্লাহর ঘর মসজিদের খেদমত ও মুসল্লিদের সুন্দরভাবে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ও খেদমত তো নয়ই বরং সামাজিক পদমর্যাদার জন্যই এভাবে মসজিদ কমিটির নির্বাচন হচ্ছে। এটা ক্ষমতা, পদমর্যাদা লাভ ও নৈতিক অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’
Advertisement
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা সদরের আমিন আবাসিক এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের আল-আমিন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ ভোটযুদ্ধ। আমিন আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করতেই রাস্তার উভয় পাশে চোখে পড়ে রঙ-বেরঙের ব্যানার। প্রার্থীদের ছবিযুক্ত ব্যানার ছাড়াও পোস্টার ও লিফলেটে সয়লাব পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও বাসাবাড়ির দেয়াল। দুটি প্যানেলে ভাগ হয়ে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা।
সাধারণত প্রতিটি মসজিদের মুসল্লি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করে থাকেন। এবারই প্রথম দেখা গেল মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে ভোটযুদ্ধ। যদিও এটি ব্যতিক্রম কিন্তু তা নামাজি, পরহেজগার মুসল্লিদের খেদমতে কতটুকু শোভনীয় ও কল্যাণকর হবে তা ভেবে দেখার বিষয়।
পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোট গ্রহণ শুরু দিনক্ষণও নির্ধারণ করা হয়েছে। মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে যে অর্থ খরচ হচ্ছে কিংবা যে দলাদলি বা পক্ষ সৃষ্টি হয়েছে তা কি আসলেই মসজিদের শান্তি বয়ে আনবে? নাকি তা অর্থের অপচয়, ক্ষমতার প্রভাব ও শত্রুতা-কোন্দল সৃষ্টি করবে- নামাজি পরহেজগার মুসল্লিদের মাঝে উঠেছে এ প্রশ্ন।
Advertisement
মসজিদ কমিটির এ নির্বাচনে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সমবায় অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২১৯ জন।
আল-আমিন জামে মসজিদ ও পঞ্চায়েত কমিটিতে দুটি প্যানেলে নির্বাচন হবে। একটি প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হাজি মোজাম্মেল হক, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক পদে লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুব-আর-রশিদ ও কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
অন্য প্যানেলে রয়েছেন সভাপতি মো. আব্দুল কাইউম, সহ-সভাপতি পদে মো. জিয়াউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শাহজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কাজী মোহাম্মদ আলী ও কোষাধ্যক্ষ পদে লড়ছেন হাজি আমজাদ হোসেন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement