আন্তর্জাতিক

৯/১১-এর হামলার ৪৮ ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন পুতিন

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। জঙ্গি বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয় টুইন টাওয়ার। এ ঘটনার জন্য বরাবরই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে দোষারোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

তবে দীর্ঘ দেড় যুগ পর ওই হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এলো। ওই তথ্য বলছে, হামলার ঠিক দুদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে ভয়ঙ্কর এই ধরনের হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন এক বিশ্লেষক এমন বলছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তরফে কিছুই জানানো হয়নি এ ব্যাপারে।

জর্জ বিবি নামে বুশ আমলের সিআইএর এই বিশ্লেষক তার ‘দ্য রাশিয়া ট্র্যাপ : হাউ আওয়ার শ্যাডো ওয়ার উইথ রাশিয়া কুড স্পাইরাল ইনটু নিউক্লিয়ার ক্যাটাসট্রোফি’ বইয়ে পুতিনের এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি বইটি প্রকাশ হয়েছে।

Advertisement

বইটিতে তিনি বলেছেন, ‘হামলার ঠিক দুদিন আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে টেলিফোন করেন। তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করেন। পুতিন বুশকে সাবধান করে বলেন, ভয়ঙ্কর ধরনের জঙ্গি হামলার শিকার হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাই এখনই সতর্ক হন।’

শুধু তাই নয়, দীর্ঘ প্রস্তুতির পর এই হামলা আফগানিস্তান থেকে আসতে পারে বলে রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করা হয়। জর্জ বিবি বলছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ব্যক্তিগতভাবে বুশকে লক্ষ্য করে এই যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তার অর্থ হচ্ছে এটি শুধুমাত্র গোয়েন্দাসংস্থা পর্যায়ের সীমাবদ্ধ ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সরকারি কর্মকর্তা বলে থাকেন, নাইন ইলেভেনের হামলায় ১৯ জন আল-কায়েদা জঙ্গি অংশ নিয়েছিল। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মার্কিন এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মনে করেন, মার্কিন সরকারের ভেতরে এমন এক চক্রের অস্তিত্ব ছিল যে তারাও এতে জড়িত। যদিও এই বিষয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসলেও নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। যদিও শুধু রাশিয়াই নয়, পাশাপাশি ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাও তৎকালীন বুশ সরকারকে সতর্ক করেছিল। তবে কেন মার্কিন সরকার গোয়েন্দা তথ্যকে আমলে নেয়নি সে ব্যাপারে আজও রহস্য থেকে গেছে।

এসআর/এমএস

Advertisement