জাতীয়

মোহাম্মদপুরের রাস্তায় আড্ডারত ২২ কিশোর আটক

কিশোর গ্যাং নিশ্চিহ্নের অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ২২ কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তারা সড়কে আড্ডা দিচ্ছিল। আচার-ভঙ্গি সন্দেহজনক ও অপরাধপ্রবণ মনে হওয়ায় তাদেরকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

Advertisement

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনেশ গোপাল বিশ্বাস জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে ২২ কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ এর কম। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আছে কি না, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায় তাদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে সতর্ক করে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে।

ওসি আরও বলেন, আটকরা কয়েকজন মিলে বিভিন্ন গ্রুপে আড্ডারত ছিল। কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া এড়াতে পরিবার থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। সেজন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া না গেলেও তাদের পরিবারকে ডেকে সতর্ক করা হবে।

Advertisement

এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ১১০ জন সদস্যকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১০৩ জনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।

শনিবার সকালে হোসেনি দালানের ইমামবাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘কিশোর গ্যাং বলি আর বড় গ্যাং বলি, ঢাকায় গ্যাং বলে কোনো শব্দ থাকবে না। সবাইকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে ডিএমপি শুন্য সহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করেছে। ঢাকায় কোনো গ্যাং থাকবে না।’

সর্বশেষ গত ৪ সেপ্টেম্বর কিশোর গ্যাং সদস্যের দ্বন্দে মোহাম্মদপুরে মহসিন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিংয়ের পাওনিয়ার গলিতে কালভার্টের পাশে আড্ডারত অবস্থায় বেশ ক’জন যুবক এসে মহসিনের কলার ধরে টেনে নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মহসিনকে বাঁচাতে গেলে সাব্বির, রাকিব ও রুবেলকেও তারা আঘাত করে। এতে সবাই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা মহসিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এআর/এমএসএইচ

Advertisement