রাজধানীর মতিঝিলে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই চেষ্টায় অভিযুক্ত বংশাল থানা পুলিশের কনস্টেবল আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মতিঝিল থানার পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক শিমুল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর-৮। এ মামলার আসামি তিনজন। আল মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামি জিতু নামের একজন। আরেকজন অজ্ঞাত।
Advertisement
মতিঝিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল আল মামুন পুলিশের গাড়িচালক। তিনি বংশাল থানার গাড়িচালক। এর আগে মতিঝিল থানায় তিন বছর চাকরি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মতিঝিল এনআরবিসি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোহামেডান ক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। ওই সময় পুলিশ কনস্টেবল মামুন ও অন্য দুজন মিলে ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে মামুন তার হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় জনতা পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়। তবে একজন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ‘পুলিশ’ লেখা একটি মোটরসাইকেল (ঢাকা-মেট্রো-ল- ২৪-৩৬৯৯) জব্দ করে পুলিশ। আবুল কালাম আজাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। তিনি মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় থাকেন। পল্টনের শখ টাওয়ারে তার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবসার অফিস আছে।
জেএ/এমএসএইচ
Advertisement