তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, বিগত ৩০ বছরেও তা হয়নি।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাতদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টারও বেশি দেশের জন্য কাজ করেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন সব সেবা অর্থাৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে ও স্বল্প খরচে পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার গণপূর্ত অধিদফতর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং ল্যাব’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
Advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, এটুআই প্রকল্পের চিফ স্ট্রাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ, পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইটি সেলের ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. মো সায়েদুর রহমান।
প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে ডিজিটালাইজডকরণের মাধ্যমে দেশের সব রোগীর তথ্য সংরক্ষণ করার পাশাপাশি চিকিৎসক ও রোগীরা যাতে এটা ব্যবহার করতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বর্তমান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।
বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ৮০ শতাংশ ডিজিটালাইজড করা সম্ভব হবে।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ত খাতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং ল্যাবের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা ও গবেষণায় নবদিগন্তের দ্বার উম্মোচিত হবে।
কর্মশালায় বিএসএমএমইউয়ের ৩০ জন চিকিৎসক, ৩৮ জন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যানালিস্ট ১২ জন, এটুআই প্রোগ্রামের ছয়জন কর্মকর্তা এবং ২০ জন সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা অংশগ্রহণ করেন। ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে মোট ৩০টি মডিউলের পর্যালোচনা ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
এমইউ/বিএ/এমকেএইচ