জাতীয়

ইলেকট্রিক বাস নামানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বললেন মেয়র খোকন

কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেল বা অকটেনচালিত বাসের বদলে ইলেকট্রিক বাস ঢাকায় নামানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

Advertisement

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল হলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘গণপরিবহনে শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক যৌথভাবে আয়োজন করে আইইবি এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম।

মেয়র বলেন, পৃথিবীর আধুনিক শহরগুলো যেখানে পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছে, সেখানে আমাদের এখনও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করতে হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেল বা অকটেনচালিত বাসের বদলে ইলেকট্রিক বাস ঢাকায় নামানোর সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়টি আমরাও ভেবে দেখতে পারি, কারণ বর্তমানে বিদ্যুতে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা যদি ইলেকট্রিক বাস চালু করতে পারি, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কমে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

Advertisement

মেয়র বলেন, সম্প্রতি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের ১৪০টি শহরের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে ঢাকার অবস্থান দেখানো হয়েছে ১৩৭তম।

‘কিন্তু অনেকেই ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য তৃতীয় শহর বলছেন। তা না বলে বসবাসের যোগ্য শহরের মধ্যে ১৩৭তম বললেও তো হয়।’

সমালোচকদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার কথা বলি তখন বলি বাসযোগ্য শহরের তালিকার ১ নম্বর। আবার একই তালিকায় থাকা ঢাকাকে বলি বসবাসের অযোগ্য তৃতীয় শহর। এটা কেন?

‘একই জরিপে কেউ প্রথমে আছে কেউ শেষ দিকে আছে। তাহলে আমরা এমনভাবে বলি না কেন যে ভিয়েনা বসবাসের অযোগ্য শহরের মধ্যে ১৪০তম…।’

Advertisement

আলোচনায় পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, পরিবহন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা হলেও এর বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেমন ঢাকা থেকে গাজীপুর ২৮ রুটে দুই হাজার গাড়ি চলছে ৪৫ কোম্পানির অধীনে। এখানে যাত্রীর জন্য রয়েছে অসম প্রতিযোগিতা। এটা প্রথমে ঠিক করতে হবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে যেসব পরিকল্পনা করি, সেগুলো অবৈজ্ঞানিক। আবার, বিজ্ঞানভিত্তিক তালিকা করতে পারি না যে, আগামী পাঁচ বছর পর কী হবে, কী করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া নেয়ায় প্রতিনিয়ত চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। চালকের লক্ষ্য থাকে কীভাবে ভাড়ার টাকা আগে ওঠানো যায়। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

আইইবি পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন ও অর্থ) প্রকৌশলী মোহম্মাদ নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল, সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

এএস/এএইচ/এমএস