পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমাদের মূল নীতিই হলো সবার (রাষ্ট্র/সংস্থা) সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখা। কারও সঙ্গে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমরা শত্রুতা করব না এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দেব। দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিকভাবে চেষ্টা করব, সরাসরি কথা বলব, জাতিসংঘের মাধ্যমে কথা বলব, কিন্তু আমরা অসহিষ্ণু হব না। আমরা প্রতিটি ব্যাপারে সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করব।’
Advertisement
রাজধানীর গুলশান-২ এর একটি হোটেলে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘দ্য রিরেভেন্স অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস ফর বাংলাদেশ : অ্যা প্রোগনোসিস ফর পার্টনারশিপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় মনে করে। আমাদের সরকার জাতিসংঘের কাছ থেকে অনেক উপকার পেয়েছে, সহায়তা পেয়েছে।’
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীর শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ কাজ করছে বলেও মনে করেন তিনি।
Advertisement
এমএ মান্নান বলেন, ‘এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ), এসডিজির দুইটা প্রোগ্রাম আছে, সেখানে জাতিসংঘের কাছ থেকে আমরা অনেক অনেক উপকার পাচ্ছি। সুতরাং জাতিসংঘ আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। জাতিসংঘে আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেব।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক মালচ ব্রাউন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েত খান।একই দিন সকাল পৌনে ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক ইন সেন্টারে আরেক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো করেছে। এর অন্যতম একটি কারণ এ দেশের বৈশ্বিক কোনো এজেন্ডা নেই, শুধু রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানো ছাড়া।’
পিডি/এনডিএস/এমকেএইচ
Advertisement