দেশজুড়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হলো না রবিনের

ফরিদপুরে এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জিলানী শিকদার রবিন (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। সে এ বছর এইচএসসি পাস করেছিল। বাড়ি ভাঙ্গা পৌর সদরের ছিলাধরচর মহল্লায়। বাবার নাম কামরুজ্জামান শিকদার।

Advertisement

রবিনের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর তার সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

দুই ভাইয়ের মধ্যে জিলানী ছিল বড়। এ বছর ভাঙ্গা সরকারি কে এম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করে।

চাচা সাংবাদিক রমজান শিকদার জানান, রবিন গত ৮ দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরবর্তীতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল, সর্বশেষ গত বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এশার নামাজের পর ভাঙ্গা ঈদগাহ মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে ঈদগাহ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Advertisement

এদিকে ফরিদপুরের শুক্রবার রাত পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৫০ জন বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. এনামুল হক জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ১ হাজার ৫৩১ জন। ৩৪৯ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। মারা গেছেন ৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৭ জন।

এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৭ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৭ জন, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন এবং বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন।

এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ১১ জন, আরোগ্য সদন হাসপাতালে ৩ জন।

Advertisement

জেলার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. এনামুল হক।

বি কে সিকদার সজল/এমএমজেড/জেআইএম