মহাসড়কে টোল আদায়ের সিদ্ধান্তে সাধারণভাবে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
Advertisement
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘যে টোলই বসানো হোক না কেন, সেটা শেষ পর্যন্ত তো জনগণকেই দিতে হবে। বাস-ট্রাকের ভাড়া বাড়বে, ফলে জনগণের ওপর, ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ আরও বাড়বে। সড়কগুলো যুগোপযোগী করা হচ্ছে না, আধুনিক করা হচ্ছে না, দুর্ঘটনা ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে এই টোল বসানোর যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে কতটা সুফল আসবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। তাই তহবিল গঠনের চেয়ে বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ওপর সরকারের বেশি নজর দেয়া উচিত।’
তারা বলেন, ‘টোল আদায় ও এক্সেল লোড কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনার পাশাপাশি কোনো ক্ষেত্রে যেন টেম্পারিং বা দুর্নীতির কোনো সুযোগ না থাকে। তবে সর্বাগ্রে মহাসড়কের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে আমাদের প্রধান প্রধান জাতীয় মহাসড়কগুলোয় সারাবছরই যানজটের ধকল পোহাতে হচ্ছে, সেখানে নতুন করে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত এবং এক্সেল লোড কন্ট্রোল সেন্টার বসানোর পদক্ষেপ যানজট আরও বাড়িয়ে তুলবে কি না, সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।’
Advertisement
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘জনগণের রাজস্বে বিশ্বের সর্বোচ্চ খরচে সর্বনিম্ন অবকাঠামো এবং নিম্নমানের কাজের অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা দূর করার মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ খরচ কমিয়ে আনা এবং কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করা সম্ভব। টোল আদায়ের মাধ্যমে মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী। সেই সঙ্গে টোল আদায়কে টেম্পারিং, অস্বচ্ছতা এবং হয়রানিমূলক যে কোনো কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখার কার্যকর পদক্ষেপ আগেই গ্রহণ করতে হবে। তা নাহলে একটি ভালো উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।’
কেএইচ/জেডএ/পিআর