পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে গত সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল কে অ্যান্ড কিউ। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ কোম্পানিটির শেয়ার দামে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে।
Advertisement
মূল্যে বড় ধরনের উত্থানের কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এদিকে শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ১২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২৩৪ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৯২ টাকা ১০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের চিত্র খুব একটা ভালো না। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডাদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি।
Advertisement
এ পরিস্থিতিতে গত বছর কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয় ডিএসই। এরপর হঠাৎ করেই ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ করে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ২ হাজার ৫৩০টি। এর মধ্যে ২৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৭২ দশমিক ১০ শতাংশই আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
কে অ্যান্ড কিউয়ের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ছিল মুন্নু জুট স্টাফলার্স। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে স্টাইল ক্রাফট। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ ছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এমারেল্ড অয়েলের ১৩ দশমিক, ৬৮ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিংয়ের ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এমএএস/এনডিএস/এমকেএইচ
Advertisement