ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, দলের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ (বৃহস্পতিবার) ম্যাচের প্রথম দিনের পরই জয়ের হিসেব নিকেশ কষতে বসা বড্ড ভুল হবে। তবে ম্যাচের গতিবিধি সম্পর্কে আলোচনা করতে প্রথম দিনের পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
আর সেখানেই কিছুটা এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ‘প্রত্যাশিত’ স্পিন সহায়ক উইকেটে সারাদিন ব্যাটিং করে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়েই ২৭১ রান করে ফেলেছে তারা। অভিজ্ঞ আসগর আফগান ৮৮ ও তরুণ উইকেটরক্ষক আফসার জাজাই ৩৫ রানে অপরাজিত থাকায় তাদের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর অবারিত সুযোগ।
যা থেকে বলা চলে, ম্যাচের প্রথম দিনটি জিতে নিয়েছে সফরকারি আফগানিস্তানই। কিন্তু এমনটা মানতে ঠিক রাজি নন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার দাবি, ম্যাচে এখনও বাংলাদেশই এগিয়ে।
দিনের শেষে দলের প্রতিনিধি সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল বলেন, ‘আমরা আজকে উইকেটের যে ব্যবহারটা দেখেছি, তাতে ওদের যে স্পিনার আছে আমার মনে হয় না খুব কঠিন হবে আমাদের কাজ। যদি এটা টি-টোয়েন্টি বা তেমন খেলা হতো তাহলে আমি হয়তো ওদের ভালো অবস্থায় রাখতাম। কিন্তু খেলাটা টেস্ট। ওদের বোলারদের ম্যাচে ধৈর্য্য কেমন থাকবে, এটাও একটা দেখার বিষয়। ওদের স্পিনাররা আগেও টেস্ট খেলেছে, ভারতের সঙ্গে খেলেছে। কিন্তু যে দুইটা খেলেছে, তাতে আমার মনে হয় না আহামরি কিছু করেছে। আমি আমার টিমকে এখনো এগিয়ে রাখবো।’
Advertisement
কিন্তু সত্যিই যদি এগিয়ে থাকতে চায় বাংলাদেশ, তাহলে দ্বিতীয় দিন সকালেই মুড়ে ফেলতে হবে আফগানিস্তানের বাকি ব্যাটিং। যা করতে আবার অলৌকিকতার আশ্রয় নিচ্ছেন তাইজুল। দ্বিতীয় দিন সকালের পরিকল্পনার ব্যাপারে তার ভাষ্য, ‘আমরা যদি ১০ রানে ৫ উইকেট ফেলে দিতে পারি তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। তাই না?’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেটে মিরাকল যে নেই তা কিন্তু না। যা কখনো হয়নি তাও হতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। নাঈম আজ দুই বলে দুই উইকেট (আসলে এক ওভারে দুই উইকেট) পায়নি আজকে? ভালো ভালো ব্যাটসম্যানদের আউট করেছে। একজন পার্টনারশিপ করেছিল। আর নাঈম দ্বিতীয় যে উইকেটটা পেয়েছে, তা ওর বল তো হঠাৎ করে নিচু হয়ে গেছে। দেখেছেন মনে হয়। তো এরকম বল তো হতেই পারে ২-৩টা। তাই আশা ছাড়ছি না।’
আফগানদের রান প্রত্যাশার বাইরে চলে গেছে কি-না জানতে চাওয়া হলে তাইজুলের উত্তর, ‘না। প্রত্যাশার বাইরে যায়নি। উইকেটটা এখন মুখস্থ উইকেট হয়ে গেছে। উইকেটে মাঝে মাঝে যদি টার্ন করতো বা মাঝে মাঝে যদি সোজা যেত, এমনটা করলে ওরা হয়তো আরো সিনসিয়ার খেলতো বা উইকেটের সংখ্যাটা বেশি থাকতো। কিন্তু এখন উইকেটের যে অবস্থা, তাতে বলটা একই রকম হচ্ছে। তাই ওরা মুখস্থের মতো খেলছে।’
এসএএস/এমএমআর/পিআর
Advertisement